১৭ নং মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ একটি প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত। মণিরামপুর উপজেলার সর্ব শেষ ইউনিয়ন হলো মনোহরপুর (ইউ,পি)।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সারা দেশে যখন একযোগে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ঘোষনা করেন।তখন থেকে আমি নেপাল ব্যানার্জী এই ইউ,আই ,এস সির উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রতে ।এখানে আমি যখন আসি তখন এই ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র নামে কোন প্রকার কোন প্রচার প্রচারনা দেওয়া হয়নি।কেউ জানত না যে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রর কার্যক্রম সম্পর্কে। এখন সবাই জানে, আমি আসার পর থেকে সরকারি ভাবে ,নিজ খরচে বিভিন্ন পোস্টার ,মাইকিং,নেমপ্লেট,লিপটে, ভিজিটিং কার্ড সহ নানা ভাবে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে জন গণের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকে ইউ,আই,এস সির কর্মকান্ড সম্পর্কে ধারনা দিয়েছি,তাদের বুঝিয়েছি।এরপর থেকে জনগণ ইউ,আই,এসসির প্রতি মনযোগ দিয়েছে।অত্র ইউনিয়নরে সর্ব স্তরের জনগণ এই সেবা কেন্দ্র থেকে নিবিঘ্নে কোন হয়রানি ঝামেলা ছাড়াই সেবা গ্রহন করতে পারছে।হাতের কাছে জনগণের দোর গোড়ায় সেবা গ্রহন করে আত্মতৃপ্তি লাভ করছে ইউনিয়ন বাসী।ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রর নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে। এখন স্থায়ীভাবে এই সকল পরিচালক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব হাতে নিয়ে রাত দিন জন কল্যাণে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।তাদের রক্ষাবেক্ষনের গুরু দায়িত্ব সরকারের।সরকারের সকল সেবা এখন ডিজিটাল সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে।
চুক্তি নামা
পরিশিষ্ট -খ
প্রথম পক্ষ : 17 bs g‡bvnicyi ইউনিয়ন পরিষদ
দ্বিতীয় পক্ষ : স্থানীয় উদ্যোক্তা
এই চুক্তিপত্র ২০১1ইং সনের 07 ইং সেপ্টেম্বর মাসে নিম্নোক্ত পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সম্পাদিত হলো ।
প্রথম পক্ষঃ
we,Gg,‡gv¯Ídv gwnZz¾vgvb
চেয়ারম্যান, 17 bs g‡bvnicyi ইউনিয়ন পরিষদ
ডাকঘরঃ মনোহরপুর,উপজেলা:মনিরামপুর,জেলা:যশোর।
দ্বিতীয় পক্ষঃ
‡bcvj e¨vbvRx©,wcZv-c‡ik P›`ª e¨vbvRx©
gvZv-cy®ú ivbx e¨vbvRx© Dc‡RjvtgwYivgcyi,‡Rjv-h‡kvi|
P›`bv ivq, পিতাঃ Zvivc` ivq
মাতাঃ cviæj evjv উপজেলাঃgwYivgcyi,‡Rjv:h‡kvi|
(চুক্তি স্বাক্ষরকারীর অবর্তমানে তার প্রতিনিধি ও উত্তরাধিকারীগণের উপর এই চুক্তিনামার শর্তাবলী বর্তাবে)
ক. চুক্তির শর্তাবলী :
১। ‘‘প্রথম পক্ষ’’ (ইউনিয়ন পরিষদ) এর দায়িত্ব :
1.1 । ইউআইএসসি স্থাপনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে একটি উপযুক্ত কক্ষ বরাদ্দ করবেন।
1.2 । স্থানীয় উদ্যোক্তার কাছ থেকে পাওয়া অর্থের বাইরে ইউনিয়ন পরিষদ ইউআইএসসি কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক এবং অন্যান্য ভৌত ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করবেন। ইউনিয়ন পরিষদ এ জাতীয় সহায়তা নিজস্ব তহবিল, সরকারী অনুদান, দাতা সংস্থা বা দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ থেকে যোগান দিবে।
1.3। ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত তথ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্যোক্তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।
1.4 । ইউআইএসসি কে টেকশসই করার জন্য উদ্যোক্তারা যাতে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন।
1.5 । ইউআইএসসি এর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
1.6। উদ্যোক্তার সাথে চুক্তি অনুসারে ইউআইএসসিএর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের যে সকল উপকরণ সরবরাহ করার কথা তা দ্রুত সম্পন্ন করবেন।
1.7 । ইউআইএসসিতে উপকরণ স্থাপন হওয়া মাত্রই উদ্যোক্তাকে বিনামূল্যে তথ্যভান্ডার (Contents)সরবরাহ করবেন। ইউনিয়ন পরিষদ এই তথ্যভান্ডার প্রধানমন্ত্রির কার্যালয়ে অবস্থিত এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম থেকে সংগ্রহ করবেন। তবে পরবর্তীতে স্থানীয় তথ্যভান্ডার তৈরী করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও উদ্যোক্তা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
1.8
|
। উদ্যোক্তা যে সকল কারিগরী সমস্য ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করতে পরবেন না, সে সকল ক্ষেত্রে অন্যত্র থেকে কারিগরী সহায়তা পাবার ব্যাপারে সহায়তা করবেন।
1.9
|
। চুক্তির মেয়াদকালে একই এলাকার প্রথম পক্ষ বা দ্বিতীয় পক্ষ একই ধরনের সেবা গ্রহনের জন্য অন্য কোন উদ্যোক্তার সাথে আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হবেন না। তবে বর্তমান উদ্যোক্তার আগ্রহ থাকলে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে তিনিই অগ্রাধিকার পাবেন।
1.10 । পাবলিক ফোন ও বেসরকারী মোবাইল ফোন সংযোগ গ্রহন ও ব্যবহারে উদ্যোক্তাকে সহায়তা প্রদান করবেন।
1.11 । উদ্যোক্তার আয়-ব্যয় হিসাব যথাযথভাবে পরিবীক্ষণ করবেন এবং উদ্যোক্তাকে সহায়তা প্রদান করবেন।
1.12 । ইউআইএসসি এর মাধ্যমে যাতে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্থ না হয় বা ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয় অথবা এমন কোন কার্যক্রম পরিচালিত না হয় যার মাধ্যমে এলাকার নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি বা সামাজিক ঐতিহ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ইউনিয়ন পরিষদ এ বিষয় সমূহের দিকে কড়া নজর রাখবেন।
1.13 । উদ্যোক্তার সাথে চুক্তি সম্পাদনের তিন বছরকাল পর্যন্ত ইউআইএসসি থেকে অর্জিত লাভ ইউনিয়ন পরিষদ গ্রহণ করবে না।
1.14 । উদ্যোক্তার সাথে চুক্তি সম্পাদনের পাঁচ বছর (৬০মাস) পর ইউনিয়ন পরিষদ ইউআইএসসি এর আয়-ব্যায় মূল্যায়ণ করে নতুন করে চুক্তি সম্পাদন করবেন। সে ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ ইউআইএসসি এর মোট প্রকৃত আয়ের সর্বোচ্চ ২৫% পর্যন্ত উদ্যোক্তার কাছ থেকে দাবী করতে পারবে। তবে ইউনিয়ন পরিষদকে লাভে চেয়ে ইউআইএসসি চালু রাখার প্রতিই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
1.15 । সরকারের পক্ষ থেকে সময় সময় জারিকৃত নির্দেশাবলী পালন করতে হবে।
২. ‘‘দ্বিতীয় পক্ষ’’ (উদ্যোক্তা) - এর দায়িত্ব :
২.১ । ইউনিয়ন পরিষদ তথা ইউআইএসসি ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে ইউআইএসসি কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় অর্থলগ্নী করবেন।
২.২ । স্থানীয় জনগোষ্ঠী যাতে অবাধে তথ্য সেবা পেতে পারে তার সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।
২.৩ । ইউআইএসসি এর ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ের ধরণ ও প্রক্রিয়া কেমন হবে তা ইউআইএসসি ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে আলোচনা করে নির্ধারণ করবেন।
২.৪ । ইউআইএসসি ব্যবস্থাপনা কমিটির মতামতের আলোকে ইউআইএসসি পরিচালনার সময়-সূচি নির্ধারণ করবেন।
২.৫। ইউআইএসসি এর উপকরণ রক্ষনাবেক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
২.৬ । স্থানীয় পর্যায়ে বানিজ্যিক সেবার চাহিদা নির্ধারণ ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করবেন।
২.৭ । দৈনিক আয়-ব্যায় এর হিসাব নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ছকে সংরক্ষণ করবেন।
২.৮। ইউআইএসসি এর প্রচার ও প্রসারের উদ্যেশ্যে এমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করবেন না যার দ্বারা জাতি, ধর্ম ও বর্ণ বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে অথবা যা ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে।
২.৯। ইউনিয়ন পরিষদের কাছে প্রতি বছর আয়-ব্যায়ের হিসাব দাখিল করবেন।
২.১০। উপকরণের মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব উদ্যোক্তাকে গ্রহন করতে হবে।
২.১১। সরকারের পক্ষথেকেসময় সময় জারিকৃত নির্দেশাবলী পালন করতে হবে।
খ. সময়সীমা :
১। চুক্তিস্বাক্ষরের ১০ (দশ) দিনের মধ্যে ইউআইএসসি এর কার্যক্রম চালুকরতে হবে। অন্যথায় চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
২। অত্র চুক্তিপত্রের মেয়াদ চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে, উভয় পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তিপত্র নবায়ন করা যাবে।
|
|
গ. সর্বদা পালনীয় এবং নিম্নরূপ ঘোষনা দেয়া হলো যে :
১। দুইটি অবিকল সেটে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়ে জারী হলো - যার একটি করে অনুলিপি পক্ষদ্বয়ের নিকট থাকবে।
২। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এই চুক্তি বলবৎ হবে।
ঘ. দৈব দুর্ঘটনা :
কোন দৈব কারণে এই চুক্তি বা চুক্তির কোন অংশ যদি পালন করা না যায় তবে সে ক্ষেত্রে কোন পক্ষকে দায়ী করা যাবে না এবং সে ক্ষেতে বাংলাদেশের আই অনুযায়ী এই চুক্তি পরিচালিত হবে
ঙ. বাতিল :
নিন্মোক্ত কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষ সম্মত হয়ে অথবা যে কোন এক পক্ষ এককভাবে এই চুক্তি বাতিল করতে পারবেন:
১। চবিবশ (২৪) মাস সময়ের পরে ও যদি ইউআইএসসি ব্যবসায় সফল নই।
২। উদ্যোক্তার কার্যক্রম যথাযথ ও সন্তোষজনক না হইলে, অথ্যাৎ উদ্যোক্তা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য তথ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ ৯০ দিনের নোটিশ প্রদান পূর্বক চুক্তি বাতিল করতে পারবেন।
৩। উদ্যোক্তা যদি একক সিদ্ধান্তে কেন্দ্র গুটিয়ে নেয়, সে ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের ইউআইএসসি এর ক্ষেত্র প্রস্ত্তত এবং উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করার জন্য যে ব্যয় হয়েছে তা ক্ষতি পূরণ হিসেবে উদ্যোক্তাকে ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর পরিশোধ করতে হবে।
৪। যে কোন এক পক্ষ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে অন্য পক্ষ তা সংশোধনের জন্য ২ মাসের নোটিশ/ঘোষনা দেয়ার পর উক্ত চুক্তি ভঙ্গ সংশোধন না হলে।
৫। দৈব দুর্বিপাকের কারণে।
৬। যে কোন এক পক্ষ যদি কেন্দ্র পরিচালনায় অনিচ্ছুক হয় তবে ৯০ দিনের আগাম নোটিশ প্রদান পূর্বক।
চ. ঘোষনা :
আমি সেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিস্কে, সুস্থ শরীরে অন্যের বিনা প্ররোচনায় এই চুক্তিপত্র দলিল পাঠ করে এর মর্মার্থ সম্পর্কে জেনে সম্পূর্ণ সঠিক ও শুদ্ধ বিবেচনা করে নিন্মের স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে এই চুক্তিপত্র সম্পাদন করছি।
প্রথম পক্ষ ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ’’ চেয়ারম্যান এর নাম দ্বিতীয় পক্ষ ‘‘উদ্যোক্তা’’ এর নাম
বি,মোস্তফা মহিতুজ্জামান নেপাল ব্যানার্জী
প্রথম পক্ষ ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ’’ চেয়ারম্যান এর স্বাক্ষর দ্বিতীয় পক্ষ ‘‘উদ্যোক্তা’’ এর স্বাক্ষর
নাজমা বেগম চন্দনা রায়
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস